দুয়ারে দামোদর : ভয়ঙ্কর ভাঙনের কবলে বিস্তৃত এলাকা , আতঙ্ক বাড়ছে

5th August 2021 3:17 pm বাঁকুড়া
দুয়ারে দামোদর : ভয়ঙ্কর ভাঙনের কবলে বিস্তৃত এলাকা , আতঙ্ক বাড়ছে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  "এবার দুয়ারে দামোদর"। একথাই যেন সত্যি হতে চলেছে। দামোদরের ভয়ঙ্কর ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন চাষের জমি ও গ্রামের কাঁচা রাস্তা ।

চাষীদের আর্তনাদ যেন কিছুতেই প্রশাসনের দুয়ারে পৌঁছাচ্ছে না। বাঁকুড়ার ইন্দাসের ভাষনা গ্রামের মানুষদের জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকার লড়াই এর একমাত্র ভরসা চাষের জমি। সেই চাষের জমি দিনের পর দিন ভয়ঙ্কর নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, তার সাথে নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বাঁকুড়া থেকে পূর্ব বর্ধমান  যোগাযোগের অন্যতম রাস্তা। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা এভাবে চলতে থাকলে হয়তো আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গোটা ভাষনা গ্রামটি যেন নদীগর্ভে চলে যাবে । প্রশাসনের কাছে বারংবার নদী ভাঙন রোধের জন্য আবেদন জানিয়েছেন ঐ এলাকার মানুষ। কিন্তু কাজের কাজ কোন হয়নি। ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু সু-দিন আসে না এই প্রত্যন্ত কৃষকদের ।

গ্রামবাসী হীরা মণ্ডল জানান ৭৫ থেকে ৭৬ বছর ধরে এই গ্রামে আছি কোনদিন নদীর পাড় ভাঙ্গে নি গত দু'বছর ধরে দামোদর নদী গর্ভ থেকে অবাধ বালি উত্তোলনের ফলে নদীর পাড় ভাঙছে ঘর দুয়ার জমি জায়গা সব জলের তোড়ে ভেসে গেলে ছেলেপুলে নিয়ে কি খাব কোথায় যাব ।

পথযাত্রী বিদ্যুৎ সরকার ও জীবন ঘোষ জানান রাস্তাটি দামোদর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে গ্রামবাসীরা ধরে ধরে কোন মতে গাড়ি পার করে দিলো জীবনের ঝুকি নিয়েই রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।